চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যুুর ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে দুই জনের বাবা বাদী হয়ে রাউজান থানায় পৃথক মামলা করেন।  মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, মামলা তদন্তে করে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে আর কারও যোগসূত্র আছে কি-না তদন্তের পর জানা যাবে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি গ্রামের ভগবান দারোগা বাড়ির সুব্রত বড়ুয়ার খালি বাড়ি থেকে জয় বড়ুয়া (২৫) ও অন্বেষা চৌধুরী আশার (২৩) লাশ উদ্ধার করা হয়। অন্য ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হওয়ায় আশাকে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাতে হত্যার পর জয় আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, আগামী ১০ মার্চ ফ্রান্স প্রবাসী রাঙ্গুনিয়া উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে আশার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষে আগামী ৭ মার্চ তার আশীর্বাদ অনুষ্ঠান। পাহাড়তলী শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ মিয়া বলেন, ‘আশা আমার ছেলে-মেয়েদের পড়াতো। প্রতিদিনকার মতো রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এসে সাড়ে ৬টায় বের হয়।’

পুলিশ বলছে, আশা টিউশনি থেকে বের হয়ে জয়ের সঙ্গে দেখা করতে সুব্রত বড়ুয়ার ঘরে যান। সুব্রতের পরিবার চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করায় ওই খালি ঘরে জয় থাকতেন। ওই ঘর থেকেই রাত ১১টার দিকে জয় ও আশার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। একপর্যায়ে ওড়না দিয়ে আশার শ্বাসরোধ করে ছুরিকাঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। এরপর জয় আত্মহত্যা করে।

এ ঘটনায় জয়ের বাবা নিলেন্দু বড়ুয়া নিলু অপমৃত্যু মামলা করেছেন। অপরদিকে অন্বেষা চৌধুরী আশার বাবা রনজিত চৌধুরী বাবলু হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় জয় বড়ুয়াকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।